Editors Choice

3/recent/post-list

বেক্সিমকোর লোকসানি কোম্পানি বিক্রি করতে চায় সরকার

বেক্সিমকোর লোকসানি কোম্পানি বিক্রি করতে চায় সরকার

বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি পোশাক কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া এই গ্রুপের আরও কিছু লোকসানি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের আওতায়, শুধু লাভজনক কোম্পানিগুলোই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, যার মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস অন্তর্ভুক্ত।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, বেক্সিমকো গ্রুপের মোট ১৬৯টি কোম্পানি রয়েছে, এর মধ্যে ৩২টি পোশাক কোম্পানি উৎপাদনে রয়েছে। তবে, এর মধ্যে ১৬টি কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া, বেক্সিমকো গ্রুপের যেসব প্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে, তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের পর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গত ২৮ নভেম্বর ১১ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়। সভায় বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। ‘এ’ শ্রেণিতে থাকবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ‘বি’ শ্রেণিতে থাকবে ৩২টি কোম্পানি, এবং বাকি সব কোম্পানি থাকবে ‘সি’ শ্রেণিতে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী প্রস্তাব দেন, যার ভিত্তিতে উপদেষ্টা কমিটি চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমত, বেক্সিমকো শিল্প পার্কের শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন পরিশোধের জন্য জনতা ব্যাংক অর্থ সরবরাহ করবে। দ্বিতীয়ত, ‘বি’ শ্রেণির কোম্পানির মালিকানা বিক্রির জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) চূড়ান্ত করবে জনতা ব্যাংক এবং ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে জানাবে। তৃতীয়ত, হাইকোর্টে চলমান রিটের জবাব দেওয়ার জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চতুর্থত, এক সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিগুলোর শেয়ার হস্তান্তরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ, যা বাস্তবায়ন করবে বিএসইসি ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রশাসক।

বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক (অর্থ ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) ওসমান কায়সার চৌধুরী জানান, সরকারের এ উদ্যোগ সম্পর্কে তারা কোনো চিঠি পাননি এবং এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছেন না। তিনি বলেন, “এটা বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না যে, বি শ্রেণির কোম্পানির স্বত্ব বিক্রি করা হবে। বরং, যদি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ব্যবস্থা করা হয়, তবে এসব কোম্পানি ভালোভাবে পরিচালিত হতে পারে।”

বেক্সিমকো গ্রুপে ঋণদাতা ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে জনতা ব্যাংক। তাই বেক্সিমকো থেকে ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটি বিপাকে পড়েছে। জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ১৮০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

এদিকে, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রথমে বিদেশি ক্রেতাদের আহ্বান জানানো হবে এবং কিছু কোম্পানির জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।”

এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে সরকারের উপদেষ্টা কমিটি আগামী দিনগুলোতে পদক্ষেপ নিবে, যা বেক্সিমকো গ্রুপের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।


Post a Comment

1 Comments

  1. এটিই আমাদের হাসিনা খালার উন্নয়নের বাংলাদেশ!!!

    ReplyDelete